Sunday, May 24, 2020

সকল কার্যক্রম শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হবে

0 comments
ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন,''যখন একজন ব্যক্তি তার সারাদিন কেবল আল্লাহর ব্যাপারে কনসার্ন থাকবে,আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার সকল প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন এবং তার সব দুঃশ্চিন্তা দূর করে দিবেন। তিনি বান্দার অন্তর খালি করে দিবেন সেখানে শুধু তাঁর প্রতি ভালোবাসা দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেওয়ার জন্য। তার মুখের জড়তা দূর করে দিবেন যেন সে মুখ দিয়ে কেবল আল্লাহর স্মরণ(যিকির) করতে পারে এবং তার সকল কার্যক্রম শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হবে।

কিন্তু যখন একজন লোক তার সারাটি দিন কেবল দুনিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে কেবল দুনিয়া নিয়ে চিন্তা-ফিকিরে করে, আল্লাহ্ তার জীবনে দুঃখ-দুর্দশা, হতাশা উৎকন্ঠা বাড়িয়ে দিবেন। তিনি তাকে এমন জিনিসে ঘোরপ্যাঁচ খাওয়াবেন যাতে তার অন্তরে যে জায়গায় আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকার কথা ছিল সেটা দুনিয়ার অন্য কিছু দখল করে নিবে। সে তার জিহ্বাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পরিবর্তে মানুষের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে।সে তার মেধা এবং শক্তিকে মানুষের আনুগত্যে ও মানুষের সন্তুষ্টি এবং সেবার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে। সে কঠিন সংগ্রাম করবে,পরিশ্রম করবে পরিশ্রমী বিভিন্ন জন্তু-জানোয়ারের মত আল্লাহ্ ভিন্ন অন্য কাউকে খুশি করার জন্য।
[আল ফাওয়াঈদঃ ১৫৯]


যে ব্যক্তি আল্লাহকে সত্যিকারভাবে মান্য করবে না,ভালোবেসে তার প্রকৃত বান্দা হতে চাইবে না, আল্লাহ্ তার অন্তরে অন্য কোন সৃষ্টির প্রতি দাসত্ব চাপিয়ে দিবেন। পবিত্র কুর'আনে আল্লাহ্ বলেনঃ
"যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী।
[সূরা আয যুখরুফঃ৩৬]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেন, "যার জীবনের চিন্তা (লক্ষ্য) হবে আখিরাত আল্লাহ্ তার অন্তরে সচ্ছলতা দিবেন। তার কর্মকাণ্ড গুছিয়ে দিবেন এবং দুনিয়া (নেয়ামত) অনুগত ও বাধ্য হয়ে তার নিকট আসবে। আর যার চিন্তা (লক্ষ্য) হবে দুনিয়া, আল্লাহ্ তার দুচোখের মাঝে দারিদ্র রেখে দিবেন, তার কর্মকাণ্ড বিক্ষিপ্ত করে দিবেন (ফলে সে অস্থিরতায় কাতরাবে) এবং দুনিয়া থেকে সে ততটুকুই অর্জন করতে পারবে, যা তার জন্য পূর্বনির্ধারিত।" (তিরমিযি: ২৪৬৫, সিলসিলা সহিহাহ: ৯৪৯-৯৫০; সহিহ)


No comments:

Post a Comment