প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পানের ফলে অন্যান্য খাদ্য গ্রহণের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কমে যায়। ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার ও পানীয় পানের প্রতিও ঝোঁক কমে আসে। খাবার গ্রহণের দেড়-দুই ঘণ্টা আগে যদি ৫০০ মিলিলিটার পানি পান করা হয়, তবে তা ওজন কমাতে খুবই সহায়ক।
কিন্তু এমনও মানুষ আছেন, যাঁদের পানি পান করতে ভালো লাগে না এবং শুধু এ জন্য তাঁদের শরীরের প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতি থেকে যায়। তাঁদের জন্য আছে পানি পানের ভিন্ন উপায়। শুধু তাঁদের জন্যই না, পানি খেয়ে ওজন কমাতে চান যাঁরা, তাঁদের জন্যও আছে টিপস।
জিরা পানি
সকালে ঘুম থেকে উঠে খেতে পারেন জিরা পানি। রাতে দুই টেবিল চামচ জিরা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সেই পানি সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। প্রথম দিকে খেতে খারাপ লাগলেও পরে অভ্যাস হয়ে যাবে। তাতে একদিকে যেমন পানি পান করা হবে, তেমন পানির মাধ্যমে কমবে ওজনও। জিরা পানিতে আয়রনের পাশাপাশি বেশ ভালো পরিমাণ ভিটামিন এ ও সি থাকে, যা থেকে অ্যান্ট- অক্সিডেন্টের সুবিধা পাওয়া যায়।
দুই চা-চামচ জিরা এক গ্লাস পানিতে গরম করে ছেঁকে উষ্ণ গরম অবস্থায় মধু দিয়ে খেয়ে নিন খালি পেটে। ওজন কমাতে জিরা পানির উপকারিতা অনেক।
লেবু পানি
পানি খেতে ভালো লাগে না এমন অনেক মানুষের কাছেই কিন্তু লেবু পানি পছন্দের শীর্ষে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে লেবু পানির সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া চাইলে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালবেলা খেতে ইচ্ছে না করলে সারা দিনে একবার বা দুবার লেবু পানি খেতে পারেন। যেকোনো ভারী খাবারের পর লেবু পানি খেলে একদিকে যেমন কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে, তেমন অন্যদিকে তা বাড়তি চর্বি ভাঙার জন্যও কাজ করবে। পাকা লেবুতে থাকে ইলেকট্রোলাইটস (যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি)। সকাল সকাল লেবু পানি আপনাকে হাইড্রেট করে, টক্সিক উপাদান দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখে, শরীরের পি এইচ লেভেল উন্নত করে।
দারুচিনি মধু পানি
দেড় গ্লাস সমান পানি চুলায় দিয়ে গরম করে এক গ্লাস সমান করে নিন। এরপর একটি গ্লাসে এক টেবিল চামচ পরিমাণ দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে তাতে গরম পানিটি ঢেলে নিন। এরপর সেটি হালকা গরম থাকা অবস্থায় তাতে দুই টেবিল চামচ মধু দিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অর্ধেক পান করুন। বাকি অর্ধেক ভালো করে ঢেকে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে সে পানিটি খেয়ে নিন। তাতে একদিকে যেমন আপনার ওজন কমবে খুব দ্রুত, তেমন অন্যদিকে শরীরের পানির চাহিদা কিছুটা হলেও কমবে।